অবশেষে,ছাত্রদল নেতা কাজী সাইমুমের তত্ত্বাবধানে মাগুরা জেলা থেকে গুলিবিদ্ধ রোহান মোল্লার চোখের চিকিৎসা চলছে বাংলাদেশ আই হসপিটালে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট মাগুরা জেলা পারনান্দয়ালী ব্রিজের উপর থেকে পুলিশের ছোড়া ছড়রাগুলি লাগে রোহান মোল্লার দুই চোখে। রোহান মোল্লা শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মাজেদুলের ছেলে সে খামার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ শ্রেণির ছাত্র।
আন্দোলনের সময় মাগুরা-ঢাকা রোডে অবস্থানরত আ.লীগের কয়েকশ নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলা পুলিশ সংযুক্ত হয়ে- পারনান্দয়ালী ব্রিজের উপরে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রছাত্রী এবং তাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা বিএনপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে একাধিক ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে।
এর একপর্যায়ে আ.লীগের বন্দুকধারীরা গুলি চালালে পারনান্দয়ালী বরুনাতৈল এলাকার বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা রাব্বিসহ নাকোল গ্রামের আরও একজন নিহত হয় এবং পুলিশের ছোড়া ছড়রাগুলি লাগে রোহান মোল্লার দুই চোখে। সহপাঠীরা প্রথমে মাগুরা জেলার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল ভর্তি করা হলেও সেখানেই তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।
এর পরে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে রোহানের ১ চোখের ১টি গুলি বের করা সম্ভব হয় । অপর চোখের গুলিটি চোখের মনির খুব কাছাকাছি থাকায় বের করা সম্ভব হয় না। পরবর্তীতে রোহানের পরিবার আশা ছেড়ে দিয়ে মাগুরা জেলায় নিজ বাড়িতে চলে আশে। কয়েকদিনের মধ্যেই চোখের আলো ক্রমেই কমতে থাকে অন্ধত্ব হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়।
এর একপর্যায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. কাজী সাইমুম চিকিৎসাবঞ্চিত রোহান মোল্লার পুনরায় দায়িত্ব নেন এবং চোখ আহত রুহানকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেন।
তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান। তার নির্দেশে ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ আই হসপিটালে ডা. সৈয়দ মাহবুল-উল কাদির রোহানের চোখের সর্বশেষ গুলিটি বের করে দেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ইঞ্জি. কাজী সাইমুম জানান, ১৮ অক্টোবর রোহানের চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে রোহান মোল্লা আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় চোখে সবকিছু দেখতে পাবে।
টিএইচ